নিজস্ব প্রতিবেদক
অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে থাকা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংসের চেষ্টা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলছে অস্থিরতা, যেখানে শিক্ষকরা হচ্ছেন নির্যাতনের শিকার এবং জোর করে পদত্যাগে বাধ্য হচ্ছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন শিক্ষক হয়েও অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে থাকা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আমলে শিক্ষকরাই সবচেয়ে অবহেলিত হয়ে পড়েছেন। শিক্ষার্থীদের একটি অংশ বিভিন্ন অজুহাতে আন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের পদত্যাগে বাধ্য করছে, যা শিক্ষক সমাজের আত্মমর্যাদায় বড় ধাক্কা দিয়েছে।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে জানা যায়, প্রায় দুই হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তিন হাজার শিক্ষক হেনস্তার শিকার হয়েছেন। এদের মধ্যে এ পর্যন্ত ৬ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। প্রায় ৫ শতাধিক আহত ও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। মিথ্যা-মামলার কবলে পড়ে অনেকে জেল-হাজতে আছেন। তারা পদ-বঞ্চিত হয়ে বেতন-ভাতাদি না পেয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। দেশজুড়ে এমন ঘটনায় বিবেকবান মানুষ বিস্মিত ও স্তম্ভিত।
শিক্ষকদের অভিযোগ, সরকার পতনের পর থেকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা তাদের বিস্মিত করেছে। পদত্যাগের ঘটনায় শিক্ষার্থীরা সামনে থাকলেও নেপথ্যে রয়েছে ভিন্ন কারণ। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সুযোগ নিয়ে স্কুল-কলেজের প্রধান শিক্ষক, অধ্যক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা প্রশাসনিক পদগুলো দখল করতেই শিক্ষকদের আরেকটা অংশই শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করছে। অথচ কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে ব্যবস্থা নেওয়ার নিয়মতান্ত্রিক ও যথাযথ প্রক্রিয়া আছে। সেসবের কোনোটিই অনুসরণ না করে শিক্ষকদের গায়ে হাত তোলা হচ্ছে। কোথাও দড়ি দিয়ে বাঁধা হয়েছে শিক্ষকদের। শিক্ষকতার শেষ বয়সে এসে সম্মান হারাতে হচ্ছে। এ ধরনের ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। এটা শিক্ষাব্যবস্থার জন্যও হুমকিস্বরূপ। অনেক শিক্ষক প্রতিষ্ঠানে ফিরতে চান; কিন্তু আতঙ্কে যেতে পারছেন না।
শিক্ষা বিশ্লেষকরা মনে করেন, এসব ঘটনার পেছনে একটি সুপরিকল্পিত মব উস্কে দেওয়ার কৌশল কাজ করছে, যার মাধ্যমে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে অকার্যকর করা হচ্ছে। এতে একদিকে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের নামে পড়ালেখা থেকে বিচ্যুত হচ্ছে, অন্যদিকে শিক্ষকের মর্যাদা ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে।
আবাসন ভাতা, হল নির্মাণ ও জকসু রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে (উপাচার্য ভবন) তালা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। গত মে মাসের ৭ তারিখ শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পদত্যাগ না করায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সুচিতা শরমিনকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে তারা তার সরকারি বাসভবনের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, অবিলম্বে ভিসি পদত্যাগ না করলে অনশনসহ বৃহত্তর দক্ষিণাঞ্চলে কর্মসূচি ছড়িয়ে দিয়ে অঞ্চল অচল করে দেওয়া হবে।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) দীর্ঘ আন্দোলনের পর উপাচার্য পদে পরিবর্তন এলেও একাডেমিক কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়নি। নতুন উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণের পর ৪ মে ক্লাস শুরুর কথা থাকলেও শিক্ষকদের ক্লাস বর্জনের কারণে এখনো কোনো শ্রেণির একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়নি। এতে সেশনজটসহ নানা সংকটে পড়ার শঙ্কায় রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
২৬ এপ্রিল রাতে শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে বেসরকারি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) উপাচার্য, অনুষদের ডিন এবং বিভাগীয় প্রধানরা একযোগে পদত্যাগ করেছেন। ফেসবুকেরে এক পোস্টে ইউআইইউ জানিয়েছে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অযৌক্তিক দাবির প্রতিবাদে উপাচার্য, সকল ডিন, প্রধান এবং পরিচালকরা যৌথভাবে তাদের প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। প্রতিষ্ঠান বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।
ছয় দফা দাবি আদায়ের আন্দোলনে সারা দেশের পলিটেকনিক কলেজগুলো দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে একাডেমিক কার্যক্রম। সম্প্রতি তারা মহাসড়ক অবরোধ করে পুরো রাজধানীবাসীকে যানজটে নাকাল করেছেন। গত বুধবার (৭ মে) বিকালে চলমান পূর্ণাঙ্গ শাটডাউন কর্মসূচি শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার ফরম পূরণ ও পরীক্ষা বর্জন করার ঘোষণা দিয়েছেন।
জুলাই অভ্যুত্থানের পর জোর করে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেওয়ার পর আবার বিদ্যালয়ে যাওয়ায় সম্প্রতি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নরোত্তমপুর ইউনিয়ন উচ্চবিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মারধরের শিকার হয়েছেন। মারধরের পর পরনের জামা-কাপড় ছিঁড়ে ফেলা হয়। মারধরের শিকার ওই শিক্ষকের নাম ইউনুস নবী। এছাড়া গত বৃহস্পতিবার রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা পৌরসভা এলাকায় বাগধানী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসা. মঞ্জু মনোয়ারাকে মেরে চেয়ার গাছে ঝুলিয়ে দিয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীরা।
সারা দেশে জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো সহস্রাধিক শিক্ষক এখনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরে রয়েছেন। এসব ঘটনায় ৬ জন শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। এমন পরিস্থিতির শিকার সারাদেশে ২৪০ জন শিক্ষক। এরমধ্যে ১৮৮ জনের পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাওয়া গেছে। যার মধ্যে ১১২ জনকে জোর করে পদত্যাগ করানো হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে পারছেন না ৫৯ জন। আর জোর করে অবসরে পাঠানো হয়েছে ১৭ জনকে। এছাড়া ১৮৮ জনের মধ্যে প্রায় ১০০ জনের বেতন বন্ধ রয়েছে। বেতন-ভাতা না পেয়ে তারা কষ্টে জীবন-যাপন করছেন বলেও জানা গেছে। এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে এসব শিক্ষকের সমস্যা সমাধান করার কথা বললেও বিষয়টি ঝুলে আছে।
শিক্ষকদের পদত্যাগ করানোর খবরগুলোর মধ্যে দেশজুড়ে আলোচিত ছিল নওগাঁর হাঁপানিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নুরুল ইসলামের বিষয়টি। গত ৩০ আগস্ট তার বিরুদ্ধে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন হয়। একদল শিক্ষার্থী ও বহিরাগতরাও অবরুদ্ধ করে অধ্যক্ষকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। শিক্ষার্থী ও বহিরাগতদের কটূক্তি এবং চাপের মধ্যে এক পর্যায়ে তাকে পদত্যাগপত্রে সই করতে দেখা যায়। হঠাৎ করেই তিনি বুকে চেপে ধরে শুয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে ধরাধরি করে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয়।
৫ আগস্টের পর চট্টগ্রামের হাজেরা তজু ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ এসএম আইয়ুবের ওপর হামলা ও জোরপূর্বক পদত্যাগ করতে বাধ্য করেন প্রতিষ্ঠানটির কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল শিক্ষার্থী। এরপর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর ২৮ সেপ্টেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি জনপ্রিয় ও শিক্ষার্থীবান্ধব হিসাবে সমাদৃত ছিলেন। যার ফলে শিক্ষকের মৃত্যুর খবরে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।
মিরপুরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মডেল একাডেমির প্রধান শিক্ষক শুভাশীষ কুমার বিশ্বাস বিদ্যালয়ের পরিবেশ উন্নয়নের পাশাপাশি গুণগত শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলার স্বীকৃতি হিসেবে দুইবার দেশসেরার পুরস্কার পান। কিন্তু গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের রোষানলে পড়েন তিনি। গত ৬ অক্টোবর নিজ অফিসকক্ষে প্রায় ১২ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখ হয় তাকে। পরে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন তিনি।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের অঙ্গসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ঐক্য পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, শেখ হাসিনা সরকার পতনের পরপরই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৪৯ শিক্ষককে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৯ জনকে সপদে বহাল করা সম্ভব হয়। গত ২ নভেম্বর ২৩ নভেম্বর সরকার পতনের পর ‘পদত্যাগে বাধ্য’ করার দুই মাস পর ‘হৃদরোগে’ মারা গেছেন চট্টগ্রামের বেসরকারি হাজের-তজু ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ এস এম আইয়ুব। গত ডিসেম্বরে পদত্যাগে বাধ্য করতে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বাজেমহল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পারভীন বেগমকে (৫৪) মারধর করা হয়।
গত ১৮ এপ্রিল চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারী এলাকায় “মব” সৃষ্টি করে হাজী তোবারক আলী চৌধুরী উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কান্তি লাল আচার্যকে পদত্যাগে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন শিক্ষক কান্তি লাল আচার্য। গত ২৫ এপ্রিল পদত্যাগপত্রে জোর করে স্বাক্ষর নেওয়ার পর আবার বিদ্যালয়ে যাওয়ায় নোয়াখালীর একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় তাঁর পরনের জামা-কাপড় ছিঁড়ে ফেলা হয় বলে শিক্ষকের অভিযোগ।মারধরের শিকার ওই শিক্ষকের নাম ইউনুস নবী।
শিক্ষাবিদরা বলছেন, শিক্ষকের মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য রাষ্ট্র ও প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন। না হলে ভবিষ্যতে একটি জ্ঞানবিমুখ, বিশৃঙ্খল প্রজন্ম গড়ে উঠবে, যা পুরো জাতির জন্য ভয়ংকর পরিণতি ডেকে আনবে।
শিক্ষা ব্যবস্থার দুর্গতি : ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিটি স্তরে সংকটে নিমজ্জিত। শিক্ষাব্যবস্থা চালু রাখতে উদ্যেগ নেওয়া হয়েছে — শিক্ষক নিয়োগ, পরীক্ষা পুনর্গঠন, সংস্কার কমিশন গঠন—কিন্তু শৃঙ্খলা ও মান-উন্নয়নে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। বরং পুরনো যান্ত্রিক শিক্ষায় ফিরে যাওয়ার ঝুঁকি, শিক্ষক ও ছাত্রদের স্বার্থহানির অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অবনতি—এসবই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, বাস্তব সংস্কার ছাড়া শিক্ষাভবিষ্যৎ সংকটে যাচ্ছে।
২০১০ সাল থেকে বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়ার রেওয়াজ শুরু করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। সব না হলেও কিছু বই বছরের প্রথম দিনই উঠত শিক্ষার্থীদের হাতে। এবার স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় সাড়ে চার কোটি শিক্ষার্থীর জন্য ৪১ কোটি বিনামূল্যের বই ছাপানো কথা বললেও বাস্তবে নতুন বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীরা হাতে পেয়েছে ৬ কোটি বই। বাকি ৩৫ কোটি সময়মতো যায়নি।
পরীক্ষা প্রক্রিয়ার বিশৃঙ্খলা: একদল শিক্ষার্থীর আন্দোলনের মুখে এইচএসসি ও সমমানের স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয় পরীক্ষার্থীদের মধ্যে। শিক্ষা গবেষকরা বলছেন, সম্পূর্ণ পরীক্ষা নেয়া ছাড়া এভাবে ফলাফল ঘোষণা করলে শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ারেই দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি থেকে শুরু করে উচ্চ শিক্ষার সর্বস্তরে এমনকি কর্মজীবনে প্রবেশেও জটিলতা তৈরি হবে। স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল না করে বরং প্রয়োজনে পরীক্ষার্থীদের আরো সময় দেয়া, সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করাসহ নানা ধরনের পরামর্শ দিচ্ছেন শিক্ষকরা।
একইসাথে সামগ্রিকভাবে সব শিক্ষার্থীর জন্য পরীক্ষা বাতিল না করে, বিশেষ করে যেসব পরীক্ষার্থী আন্দোলনের সময় গুরুতর অসুস্থ বা চিকিৎসাধীন রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এ বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে বলে মনে করছেন শিক্ষা গবেষকরা। এছাড়া ক্লাস ও পরীক্ষা স্থবিরতা: আগস্টের পর থেকে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস ও পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে চালু হয়নি। নিয়োগ ও প্রশাসনিক সংকট: মাউশি–সহ গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা সংস্থায় শীর্ষ ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘ শূন্যতা থেকে চলতি নিয়ন্ত্রণে সমস্যা দেখা দিয়েছে।